দুবাইয়ে রোববার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ১৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৯ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৭৫ রান তুলে ফেলেছিল মুম্বাই। কিন্তু মাত্র ৩২ রানে শেষ ৯ উইকেট হারিয়ে ৫৪ রানে হেরে যায় আইপিএলের রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।
তাদের ব্যাটিং ধসের শুরুটা অধিনায়ককে দিয়েই। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে ছক্কায় ওড়াতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রোহিত (২৮ বলে ৪৩)। টিকতে পারেননি ইশান কিষান, ক্রুনাল পান্ডিয়া ও সূর্যকুমার যাদব।
এরপরই মুম্বাইকে বড় ধাক্কাটা দেন হার্শাল। ১৭তম ওভারে পরপর তিন বলে হার্দিক পান্ডিয়া, কাইরন পোলার্ড ও রাহুল চাহারকে ফিরিয়ে তিনি পূরণ করেন হ্যাটট্রিক।
স্লোয়ার বল আকাশে তুলে বিরাট কোহলির হাতে ধরা পড়েন হার্দিক। আরেকটি স্লোয়ারে শরীরের পেছন দিয়ে বোল্ড হন পোলার্ড। হ্যাটট্রিক বলটিও ছিল স্লোয়ার, নিচু ফুলটসে এলবিডব্লিউ হন রাহুল চাহার।
আইপিএলে এটি ২০তম হ্যাটট্রিকের ঘটনা। হার্শাল সেখানে ১৭তম বোলার। সর্বোচ্চ তিনবার এই কীর্তি গড়েন অমিত মিশ্র। দুইবার যুবরাজ সিং।
৩০ বছর বয়সী হার্শালই নিজের পরের ওভারে অ্যাডাম মিল্নকে বোল্ড করে মুম্বাইয়ের ইনিংস গুটিয়ে দেন ১১১ রানে, ১১ বল বাকি থাকতে। নবম ওভারের পর মুম্বাইয়ের ব্যাটসম্যানরা বাউন্ডারি মারতে পারেন কেবল একটি! দুই ওপেনারের পর দুই অঙ্কে যেতে পারেননি আর কেউ।
৩.১ ওভারে ১৭ রান দিয়ে হ্যাটট্রিকসহ হার্শালের শিকার ৪টি। ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চেহেল। ব্যাটিংয়ে ৩৭ বলে ৫৬ রানের পর হাত ঘুরিয়ে ২৩ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন ম্যাক্সওয়েল।
এই ম্যাচেই ৫১ রান করার পথে ভারতের প্রথম ও সব মিলিয়ে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন কোহলি। উপলক্ষটা দারুণ জয়ে রাঙালেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক।