ক্রীড়া প্রতিবেদক | টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে সুখকর কিছু পায়নি বাংলাদেশ। আগের ছয়টি বিশ্বকাপে ২৫ ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে কেবল পাঁচটি, যার চারটিই বাছাই পর্বে। মূল পর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে একবার হারিয়েছিল বিশ্বকাপের প্রথম আসরে, নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে। হংকং, আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তানের মতো প্রতিপক্ষের কাছে হারের লজ্জাও পেয়েছে। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ভালো নয়। তবুও এবারের বিশ্বকাপে ভালো করার এবং প্রত্যাশার চেয়ে বেশিদূর যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে অংশ নিতে আজ রাতে ওমান যাচ্ছে বাংলাদেশ। উড়াল দেওয়ার আগে মাহমুদউল্লাহ আরেকবার নিজেদের প্রত্যাশার কথা শুনিয়েছেন, ‘যদি আমরা ভালো ক্রিকেট খেলে বাছাই পর্বের ম্যাচগুলো জিতে মূল পর্বে যাই তাহলে আমরা চেষ্টা করব যত বেশি ম্যাচ জেতা যায়। পূর্ববর্তী বিশ্বকাপগুলোতে আমাদের খুব একটা সুখকর স্মৃতি নেই। আমরা চেষ্টা করবো সেই দেয়াল (ভালো করতে না পারা) ভাঙতে। আপনি বলতে পারবেন না এই ফরম্যাটে কখন কি আসবে। অধিনায়ক হিসেবে প্রথমবার বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ। বৈশ্বিক মঞ্চে মাহমুদউল্লাহ ভাগ্য বরাবরই ভালো। ২০১৫ বিশ্বকাপে দুটি সেঞ্চুরি, ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও তার ব্যাট থেকে আসে তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগার। এবার সবার প্রচেষ্টায় ভালো কিছু করার আশা দেখাচ্ছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক, ‘ভালো অনুভব করছি। এটি সম্মানের বিষয়। আমি সম্মানিতবোধ করছি। একই সঙ্গে এটা আমার জন্য অনেক বড় দায়িত্ব। সবাই মিলে চেষ্টা করব এবং সবাই যেন নিজেদের দায়িত্বটা ভাগ করে নিতে পারি এবং আমরা দেশের জন্য ভালো কিছু করতে পারি।’ ওমানে প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশ দল খেলবে স্কটল্যান্ড, ওমান ও পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে। এই পর্ব টপকে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের যেতে হবে আরব আমিরাতের সুপার-১২ রাউন্ডে। সব বাধা টপকে বিশ্বকাপে ভালো করতে মুখিয়ে বাংলাদেশ। এজন্য দেশবাসীর দোয়া চেয়ে রাখলেন মাহমুদউল্লাহ। ‘আমরা সবাই আপনাদের কাছে দোয়া প্রার্থী। ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে মনে হয় আমাদের জন্য ভালো একটি সুযোগ এই বিশ্বকাপে। যদি আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, ধারাবাহিক থাকতে পারি তাহলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। আমরা সর্বশেষ কয়েকটা সিরিজে যেই ক্রিকেট খেলেছি ওই রকম আত্মবিশ্বাস নিয়ে যেন আমরা খেলতে পারি। তাহলে আমাদের জন্য ভালো কিছু অর্জন করা সম্ভব। ‘আমার মনে হয় যে প্রত্যাশা থাকবেই। সবমিলিয়ে দলের, খেলোয়াড়দের ও দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেক উচুঁতে। কিন্তু এই প্রত্যাশাগুলো আমরা তখনই পূরণ করতে পারবো যখন আমরা নিজেদের সক্ষমতা অনুযায়ী নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারব। সেটার জন্য গ্রুপ পর্বের যে ম্যাচগুলো (বাছাই পর্ব) আছে, ধাপে ধাপে আমাদের আগাতে হবে।