ক্রীড়া প্রতিবেদক || মুখে চিরচেনা হাসিটা আছে। কিন্তু ভেতরে কি চলছে বোঝা যাচ্ছিল না একটুও! বিমানবন্দরে সাকিব আল হাসানকে দেখে কোনো কিছু অনুমান করা গেল না।
দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার আগে গণমাধ্যমে কথা বলবেন তা আগে থেকে জানা ছিল। তাই একটু ভিড়ও ছিল। সেই ভিড় সামলে সাকিব এগিয়ে এলেন প্রাণবন্তভাবে। দ্বিতীয় প্রশ্নটাই বাউন্সার, ‘স্বস্তি নিয়েই কি দক্ষিণ আফ্রিকা যাচ্ছেন? সাকিব ডাক করলেন না। সোজা পুল, ‘অনেকটা স্বস্তি নিয়ে যাচ্ছি।’
সঙ্গে যোগ করলেন, ‘দলের সঙ্গে থাকাটা সব সময়ই ভালো ব্যাপার, মজার ব্যাপার। শেষ ১৫ বছর ধরে আছি। সামনেও হয়তো থাকতে পারলে ভালো লাগবে। দলের সঙ্গে থাকাটাই সব সময় আনন্দের ব্যাপার। আশা করি দলের জন্য সবাই একটা ভালো ফল আনতে পারব।’
ঠিক এক সপ্তাহ আগে ওই জায়গায় দাঁড়িয়ে সাকিবের কন্ঠে ছিল ভিন্ন সুর। বলেছিলেন, ‘শারীরিক ও মানসিকভাবে আন্তর্জাতিক খেলার মতো অবস্থায় নেই। এজন্য বিশ্রামের প্রয়োজন।’ এরপর সপ্তাহজুড়েই নানা নাটক। শনিবার সেই নাটকের মধুর সমাপ্তি টেনেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও সাকিব নিজে। দক্ষিণ আফ্রিকা যাচ্ছেন তিন ওয়ানডে এবং দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ খেলতে।
রোববার রাতে বিমান উঠার আগে সতীর্থ, টিম ম্যানেজমেন্টকে পাশে চাইলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার, ‘অনেক সময় জায়গার পরিবর্তন হলে মানসিক অবস্থারও পরিবর্তন হয়। আমি ওই আশাটাই করছি। আমি নিশ্চিত আমার সতীর্থ, ম্যানেজমেন্ট, কোচিং স্টাফ সবাই আমাকে অনেকভাবে সহযোগিতা করেছে। আশা করছি এবারও তারা একইভাবে সহযোগিতা করবেন। আমি চেষ্টা করবো সেটার প্রতিদান দিতে।’