নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর ||
কোরবানির হাটে যেতে প্রস্তুত গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় মেদী আশুলিয়া গ্রামের জাকির খাঁনের ‘বিমান’ নামের বিশাল আকৃতির গরু।
জাকির খাঁন ‘বিমান’ এর দাম হেঁকেছেন ১৪ লাখ টাকা। ৪০ মণ ওজনের কৃষ্ণ বর্ণের গরুটি ফ্রিজিয়ান হোম জাতের। আকর্ষনীয় গরুটি দেখতে প্রতিদিনই মানুষ আসছে বাড়িতে।
এলাকার লোকজন বলছেন, চাপাইর ইউনিয়নের মেদী আশুলাই গ্রামের জাকির খাঁনের বাড়ির গরুর খবর ছড়িয়ে পড়েছে লোকজনের মুখেমুখে। মানুষ ভিড় করছে। তারা বলছে, এতো বড় গরু এর আগে এই এলাকায় কখনোই দেখেনি।
জাকির খাঁন জানান, কয়েক বছর আগে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে মায়ের নাম (রোকিয়া) দিয়ে একটি ডেইরি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। পরে ওই খামারে ৪টি গাভী কিনে পালন শুরু করেন। গতবছর উপজেলার দেওহাটা পশুর হাট থেকে একটি ফ্রিজিয়ান হোম জাতের ষাড় ১ লাখ ১২ হাজার টাকা দিয়ে কেনেন।
দু’বছর পালনের পর গরুটির উচ্চতা হয়েছে ৬ ফুট ২ ইঞ্চি, লম্বায় ১৩ ফুট, বুকের পরিমান ১০ ফুট, মুখ চওড়া ২ ফুট ৩ ইঞ্চি, গলার বেড় ৫ ফুট, শিং ১০ ইঞ্চি লম্বা, লেজের দৈর্ঘ্য ৪ ফুট ৩ ইঞ্চি এবং ওজন প্রায় ১ হাজার ৭শ কেজি অর্থাৎ ৪০ মণ। কোরবানির আগে আরও কয়েকমণ ওজন বাড়বে।
তিনি জানান, ষাড়ের পিছনে তার প্রতিদিন খরচ হয় হাজার থেকে ১৩শ টাকা । গরুটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সার্বক্ষণিক তিন জন সদস্য কাজ করেন।
জাকির খান বলেন, নামের যেরকম চমক আছে, ঠিক তেমনি চমক রয়েছে তার দৈহিক গঠনের। আমি অনেক যত্ন করে গরুটি বড় করেছি। সখ করে নাম রেখেছি ‘বিমান’। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে বিমানকে লালন পালন করা হয়েছে। তবে ১৩ থেকে ১৪ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারলেই আমার স্বপ্নপূরণ হবে।
কালিয়াকৈর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত) ড. রাশেদুজ্জামান মিয়া জানান, কালিয়াকৈর উপজেলায় ১ হাজার ৬ শ খামারি রয়েছে। তবে কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে এবার উপজেলায় ২৪ হাজার ৯শ ৪৫টি গরু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে । দেশীয় খাবার দিয়েই বিমানকে লালন-পালন করা হচ্ছে।