ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার ওসি এমএ জলিলকে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অবৈধ সম্পদ অর্জন, অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎ ও সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে বুধবার দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
শহরের ঝিলটুলির ফরিদপুর দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে তাকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা যাবত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের উপ-পরিচালক।
ওসিকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমএ জলিলের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানার দক্ষিণ পাশের ‘পুলিশ স্কয়ার’ মার্কেট নির্মাণের সময় দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতি আশ্রয়ের অভিযোগ ও তার ব্যক্তিগত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাকে ডাকা হয়েছিল। আমরা ওসির অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখছি। তদন্তের স্বার্থে এখন বিস্তারিত বলতে পারছি না। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে অসদাচরণ, থানায় ঘুস গ্রহণসহ এ রকম অপরাধের অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। আমরা সব অভিযোগ তদন্ত করছি।
দুদকে তলবের বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ জলিল মোবাইল ফোনে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়গুলো অস্বীকার করে বাংলার মুখ বিডি ২৪কে বলেন, পুলিশ স্কয়ার মার্কেটের বিষয়ে আমাকে ডেকেছিল দুদক। অভিযোগের বিষয়ে ছিল- মার্কেট নিয়ে অনেক টাকা আত্মসাৎ হয়েছে, সরকারি জায়গা দখল করে মার্কেট হয়েছে। অনেক টাকা আত্মসাৎ হয়েছে। কিন্তু মার্কেটতো সাবেক এসপি আলিমুজ্জামানের আমলে হয়েছে। এখানে কোনো টাকার এদিক সেদিক হয়নি। আমরা মার্কেটের সব দোকান থেকে তিন কোটি ২৫ লাখ টাকা পেয়েছি। আর তিনতলা পুরো মার্কেটটি করতে ডেভেলপার কোম্পানিকে ব্যাংকের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে তিন কোটি ২১ লাখ টাকা। বাকি টাকা রং এবং ইলেকট্রিক মালামাল ক্রয়ে ব্যয় করা হয়েছে। তবে ব্যক্তিগত সম্পদ অর্জন বা তার বিরুদ্ধে আনীত অন্যান্য অভিযোগগুলো বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।