জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ||
শ্রীলঙ্কা: ১২৪/৯ (২০ ওভার)
বাংলাদেশ: ১২৫/৮ (১৯ ওভার)
ফল: বাংলাদেশ ২ উইকেটে জয়ী।
সহজ ম্যাচ কঠিন করে ২ উইকেটে জিতলো বাংলাদেশ। ১২ বলে প্রয়োজন ছিল ১১। শানাকাকে ১৯তম ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে নিজেদের নাগালে নিয়ে আসেন মাহমুদউল্লাহ। পরের বলে সিঙ্গেল নেন। এক ডট দিয়ে তানজীম আবার মাহমুদউল্লাহকে স্ট্রাইক দেন। পঞ্চম বল ডট দেন, শেষ বলে শর্ট করেন শানাকা। বল অনেক উপরে দিয়ে গেলেও মাহমুদউল্লাহ ব্যাট চালান, আউটের আবেদন করে রিভিউ নেয় শ্রীলঙ্কা। কিন্তু লাভ হয়নি উলটো ওয়াইড হয়। এবার মাহমুদউল্লাহ মিড অফে খেলে ভোঁ দৌড় দেন, অপেক্ষা করেননি পরের ওভারের, ওভার থ্রো মিস হলে নিয়ে নেন ম্যাচজয়ী রানও। ৬ বল হাতে রেখে জয় পায় বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ ১৬ ও তানজীম ১ রানে অপরাজিত ছিলেন। সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন তাওহীদ। ৩৬ রান করেন লিটন। লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন তুষারা। ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন রিশাদ।
৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে বাংলাদেশ
পাথিরানা শর্ট বল বেরিয়ে যাচ্ছিল অফ দিয়ে, সাকিব ধৈর্য ধরতে পারেননি। কাট করে ধরা পড়েন ডিপ থার্ড অঞ্চলে। ১৪ বলে ৮ রান করেন সাকিব। পরের ওভারে সাকিবের মতো একই কাজ করেন রিশাদ। জায়গা থেকে সরে মারতে গিয়ে বোল্ড হন তুষারার বলে। পরের বলে তাসকিন মাঠে এসেই এলবিডব্লিউ হন। ৪ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে বাংলাদেশ। মাত্র ১৮ রনা দিয়ে ৪ উইকেট নেন তুষারা। ১২ বলে প্রয়োজন ১১ রান। একমাত্র ভরসা মাহমুদউল্লাহ। তার সঙ্গী তানজীম।
লিটনের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ১০০
শুরুর ধাক্কা সামলে প্রতিরোধ গড়তে দারুণ ভূমিকা রাখেন লিটন। শান্তর সঙ্গে জুটি লম্বা হয়নি, তবে পুষিয়ে দিয়েছেন তাওহীদের সঙ্গে। ধীরে গতিতে খেললেও সুযোগ পেলেই হাঁকিয়েছেন চার-ছয়। তবে বাংলাদেশের ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেননি। হাসারাঙ্গার ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে ফেরেন সাজঘরে। ২ চার ও ১ ছয়ে ৩৮ বলে ৩৬ রান করেন লিটন। তার আউটের পরই ১৪.২ ওভারে বাংলাদেশ ১০০ রান পূর্ণ করে। ক্রিজে সাকিবের সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ।