আন্দোলন ও সরকার পতন ঘিরে সহিংসতার কারণে বেশ কয়েক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর আবার যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকাল থেকেই বিভিন্ন রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তবে প্রতিটি ট্রেনেই যাত্রীর সংখ্যা তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
মালবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল সোমবার থেকেই। মঙ্গলবার শুরু হয়েছে লোকাল, কমিউটার, মেইল ট্রেন চলাচল। বৃহস্পতিবার থেকে সব ধরনের আন্তঃনগর ট্রেনও যাত্রী পরিবহন করবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ট্রেন চলাচল শুরুর বিষয় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবীর। তিনি রেল চলাচল শুরুর বিষয়ে নির্দেশনা চান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “রেলের কোনো সমস্যা না থাকলে নিজেদের মতো পরিকল্পনা করে রেল চলাচল শুরু করা যেতে পারে”। এরপর রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠক করে ধাপে ধাপে ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ঢাকার কমলাপুর স্টেশনের মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, সকাল থেকে নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী কয়েকটি ট্রেন স্টেশন ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে বলাকা, দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার, নারায়ণগঞ্জ কমিউটার, মহুয়া এক্সপ্রেস, তুরাগ, কর্ণফুলী এবং তিতাস কমিউটার সকালে ছেড়ে গেছে। একইভাবে ঢাকার দিকেও নির্ধারিত ট্রেনগুলো ছেড়ে আসছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন সংঘাতে রূপ নিলে গত ১৮ জুলাই ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর স্বল্প দূরত্বে মেইল, লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চালু করা হয়েছিল। চলেছিল কিছু মালবাহী ও জ্বালানি তেলবাহী ট্রেনও। কিন্তু ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দিলে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর ২৫ জুলাই থেকে সীমিত পরিসরে আবার ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে সেদিনও কোনো ট্রেন চলাচল করেনি। সেদিন রেল ভবনে এক বৈঠকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় রেলপথ মন্ত্রণালয়।
১৩ দিন বন্ধ থাকার পর ১ অগাস্ট স্বল্প দূরত্বে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। কিন্তু দুদিন চলার পর ৩ অগাস্ট শনিবার ফের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।