কমিটির সভা ডাকা ও সুপারিশ তৈরির কাজ এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব আহ্বায়কের। বর্তমানে আহ্বায়কের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নগর উন্নয়ন) মরণ কুমার চক্রবর্তীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলা সম্ভব হয়নি। কমিটির সদস্যসচিব স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব (সিটি করপোরেশন-১) নুমেরী জামান বলেন, তিনি কয়েক মাস আগে এই দায়িত্বে এসেছেন। এই সময়ের মধ্যে কমিটির কোনো সভা হয়নি।
কমিটি গঠন করা হয়েছিল ২০১৯ সালে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেওয়ার পর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, ওই বছর সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখের বেশি মানুষ। সরকারি হিসাবে মারা যান ১৭৯ জন, যা বেসরকারি হিসাবে ৩০০ জনের বেশি। এমন অবস্থায় ওই বছরের মাঝামাঝি ও ২০২০ সালের শুরুতে মশকনিধনের উপায় খুঁজতে স্থানীয় সরকার বিভাগ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বেশ কয়েকটি সভা করে। এসব সভায় বিশেষজ্ঞরা সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা পর্যায়ে বিক্ষিপ্তভাবে মশক নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রম না চালিয়ে সমন্বিত ব্যবস্থাপনা (ইন্টিগ্রেটেড ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট) গড়ে তোলার সুপারিশ করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সমন্বিত কীট ব্যবস্থাপনার বিষয়ে সুপারিশ দিতে কমিটি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এর সদস্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ জি এম সাইফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গত বছর কমিটির একটি সভা হয়েছিল। কিন্তু এরপর আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। তিনি বলেন, ‘মশকনিধন এখন “মৌসুমি টেনশন” হয়ে গেছে। যখন রোগী বাড়ে তখন হইহল্লা করি, রোগী কমলেই আলোচনা থেমে যায়। মশা সমস্যার স্থায়ী সমাধান দরকার।’