বৃহস্পতিবার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “উন্নত দেশ যারা, ধনী দেশ যারা, তারা সব টিকা নিয়ে বসে আছে, আর ব্যবহারও করতে পারে না, ফেলে দিচ্ছে। এটা কী ধরনের ইথিক্যাল অ্যান্ড মর্যাল ভ্যালুজ?”
প্রয়োজনের অতিরিক্ত জোগানের ফলে জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে মেয়াদোত্তীর্ণ করে টিকা ফেলে দেওয়ার খবর এসেছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
ওই সব দেশে কম জনপ্রিয় হিসাবে বিবেচিত অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা অন্যান্য দেশে পাঠানোর চিন্তা করা হলেও মেয়াদ ফুরিয়ে আসায় তা সম্ভব না হওয়ার কথাই উঠে এসেছে ওইসব প্রতিবেদনে।
জার্মানিতে টিকা ফেলে দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে জানতে চাইলে টিকা নিয়ে উন্নত দেশগুলো বৈষম্যমূলক পদক্ষেপের সমালোচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
তিনি বলেন, “আপনারা তাদের কথায় হৈ চৈ করেন, এটা মানবাধিকার লংঘন নয়? লোকেরা পাচ্ছে না, আর সে ফেলে দিচ্ছে… এজন্য আপনারা বড় রকমের আন্দোলন শুরু করেন না কেন?”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এটা এখন ন্যূনতম প্রয়োজন। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রথম দিন থেকে বলছেন, টিকা হতে হবে জনগণের সম্পত্তি।
“আমরা বলেছি যে, তোমরা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার আইনটা শিথিল করো, যাতে আমরা ওইটা তৈরি করতে পারি। সব ইউরোপিয়ান কান্ট্রি এটাতে অবজেকশন দিয়েছে।”
তিনি বলেন, “বাইডেন সাহেব মুখে বলেছেন, আই সমর্থন করি এটা জনগণের সম্পত্তি। কিন্তু কাজের সময় নাই। আর সব ইউপোরিয়ানরা এক সাথে এটা যাতে অন্যরা তৈরি করতে না পারে, এটার বিরুদ্ধে কাজ করেছে।”
ইউরোপীয় থেকে কিছু টিকার আসার কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ইউরোপিয়ানরা আমাদের কিছু দিয়েছে। যদিও আমাদের দেশের জন্য যৎসামান্য।
“আমরা আশা করি, তারা আরও সদয় হবে। তারা আমাদের সারাদিন উপদেশ দিয়েই বেড়াচ্ছে, কিন্তু কাজের সময় আমরা ওই রকম রেসপন্ড দেখি না। আমরা ইউরোপীয় দেশ ও উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে আরও দায়িত্বশীল অবস্থান চাই।”