২৬ রানের জয়
শেষ ১০ ওভারে ৮৪ রান প্রয়োজন ছিল ওমানের, হাতে ছিল ৮ উইকেট। দারুণ লাইন-লেংথে বোলিং করে স্বাগতিকদের এই সমীকরণ মেলাতে দেয়নি বাংলাদেশ। ২৬ রানে ওমানকে হারিয়ে চলতি আসরে পেয়েছে প্রথম জয়।
বাংলাদেশের ১৫৩ রান তাড়ায় ওমান ৯ উইকেটে করে ১২৭ রান।
৩৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে জয়ে বড় অবদান মুস্তাফিজুর রহমানের। কার্যকর ইনিংসের পর ২৮ রানে ৩ উইকেট নেন সাকিব আল হাসান। অন্যরা যখন রান বিলাচ্ছিলেন তখণ আঁটসাঁট বোলিং করা মেহেদি হাসান ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের অবদানও কম নয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫৩ (লিটন ৬, নাঈম ৬৪, মেহেদি ০, সাকিব ৪২, সোহান ৩, আফিফ ১, মাহমুদউল্লাহ ১৭, মুশফিক ৬, সাইফ ০, তাসকিন ১*, মুস্তাফিজ ২; বিলাল ৪-০-১৮-৩, কলিমউল্লাহ ৪-০-৩০-২, ফায়াজ ৪-০-৩০-৩, নাদিম ৪-০-৩৫-০, ইলিয়াস ২-০-১৬-০, মাকসুদ ২-০-১৭-১)
ওমান: ২০ ওভারে ১২৬/৯ (ইলিয়াস ৬, জাতিন্দার ৪০, প্রজাপতি ২১, মাকসুদ ১২, আয়ান ৯, সন্দিপ ৪, নাসিম ৪, কলিম ৫, নাদিম ১৪*, ফায়াজ ০, বিলাল ০*; তাসকিন ৪-০-৩১-০, মুস্তাফিজ ৪-০-৩৬-৪, সাইফ ৪-০-১৬-১, সাকিব ৪-০-২৮-৩, মেহেদি ৪-০-১৪-১) |
সোহানের দুর্দান্ত ক্যাচ, মুশফিকের সহজ
সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে যেন চাঙ্গা হচ্ছে বাংলাদেশ। ফিরছে আত্মবিশ্বাস। সেই পথ ধরেই হয়তো মুস্তাফিজুর রহমানের বলে এক হাতে দারুণ এক ক্যাচ গ্লাভসে জমালেন নুরুল হাসান সোহান।
মুস্তাফিজের বেরিয়ে যাওয়া বল দূর থেকেই খেলার চেষ্টা করেন কলিমউল্লাহ। ব্যাটের সামনের দিকে লেগে ক্যাচ যায় সোহানের কাছে ঝাঁপিয়ে মুঠোয় জমান বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক।
এক বল পর কাভারে সহজ ক্যাচ নেন মুশফিকুর রহিম। তেড়ে ফুড়ে মারতে গিয়ে টাইমিং করতে পারেননি ফায়াজ বাট। তিনি মুস্তাফিজের চতুর্থ শিকার।
১৮ ওভারে ওমানের স্কোর ৯ উইকেটে ১১২।
সাকিবের জোড়া উইকেট
নিজের শেষ ওভারে জোড়া শিকার ধরলেন সাকিব আল হাসান। বাঁহাতি এই স্পিনারকে ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন আয়ান খান ও নাসিম খুশি।
লং অনে বাঁহাতি আয়ানের ক্যাচ ধরার পর লং অফে ডানহাতি নাসিমের ক্যাচ মুঠোয় জমান মাহমুদউল্লাহ।
১৭ ওভারে ওমানের স্কোর ৭ উইকেটে ১০৭। জয়ের জন্য শেষ ৩ ওভারে ৪৭ রান চাই তাদের।
সন্দিপকে ফেরালেন সাইফ
ধীরে ধীরে ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ জোরালো করছে বাংলাদেশ। আঁটসাঁট বোলিং করা মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন পেয়েছেন ম্যাচে নিজের প্রথম উইকেট।
অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের শর্ট বল তাড়া করেন সন্দিপ গৌড়। ঠিক মতো পারেননি তিনি। কাভারে সহজ ক্যাচ মুঠোয় জমান মুশফিকুর রহিম।
৮ বলে ৪ রান করেন সন্দিপ।
১৬ ওভারে ওমানের রান ৫ উইকেটে ১০৪। ক্রিজে আয়ান খানের সঙ্গী নাসিম খুশি। জয়ের জন্য শেষ ৪ ওভারে ৫০ রান চাই স্বাগতিকদের।
জাতিন্দারকে ফেরালেন সাকিব
ইনিংসের শুরুতে দুইবার বেঁচে যাওয়া জাতিন্দার সিংয়ের জন্য ফাঁদ পেতে ছিলেন সাকিব আল হাসান অনেক ক্ষণ ধরে। কিন্তু কাজে আসছিল না, উল্টো বাউন্ডারি পেয়ে যাচ্ছিলেন ওমানের ওপেনার। শেষ পর্যন্ত সফল হলেন সাকিব, সীমানায় ধরা পড়লেন জাতিন্দার।
সুইপ-রিভার্স সুইপ করে সাকিবের বলে রান তুলছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত সুইপ করেই ধরা পড়লেন ডিপ স্কয়ার লেগে। সেখানে ক্যাচ মুঠোয় জমান লিটন দাস।
৩৩ বলে চারটি ও একটি ছক্কায় ৪০ রান করেন জাতিন্দার।
১৩ ওভারে ওমানের স্কোর ৪ উইকেটে ৯০। ক্রিজে আয়ান খানের সঙ্গী সন্দিপ গৌড়।
মুস্তাফিজের দারুণ ক্যাচ
আঁটসাঁট বোলিং করা মেহেদি হাসানকে এলোমেলো করে দিতে চাইলেন জিশান মাকসুদ। ওড়াতে চাইলেন ছক্কায়। কিন্তু পারলেন না টাইমিং করতে, কিছুটা দৌড়ে গিয়ে চমৎকার ক্যাচ মুঠোয় জমালেন মুস্তাফিজুর রহমান।
সুইপের লেংথে ছিল না তবুও টেনে খেললেন ওমান অধিনায়ক। আকাশে ওঠে যাওয়া ক্যাচ ডিপ স্কয়ার লেগে তালুবন্দি করতে কোনো ভুল করেননি মুস্তাফিজ। ভাঙে ৩৪ রানের জুটি।
১২ ওভারে ওমানের স্কোর ৩ উইকেটে ৮২। ক্রিজে জাতিন্দার সিংয়ের সঙ্গী আয়ান খান। জয়ের জন্য শেষ ৮ ওভারে ৭২ রান প্রয়োজন স্বাগতিকদের।
১০ ওভারে ৮৪ রান চাই ওমানের
প্রথম ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৭০ রান করেছে ওমান। বাংলাদেশকে বিদায় সুপার টুয়েলভে যেতে শেষ ওভারে ৮৪ রান চাই তাদের।
২৫ বলে ৩০ রানে খেলছেন জাতিন্দার সিংগ। ১১ বলে জিশান মাকসুদের রান ৪।
২ ওভারে মেহেদি হাসান দিয়েছেন কেবল ৬, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন ৯। তাসকিন আহমেদ ও সাকিব আল হাসান দিয়েছেন ১৭ রান করে। ২ উইকেট পেলেও মুস্তাফিজুর রহমান ছিলেন সবচেয়ে খরুচে। ২ ওভারে বাঁহাতি এই পেসার দিয়েছেন ১৯।
মাহমুদউল্লাহ ছাড়লেন, সোহান ধরলেন
ষষ্ঠ ওভারে আক্রমণে ফিরে উইকেটের সুযোগ তৈরি করলেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি পেসারের বল আকাশে তুলে দিলেন জাতিন্দর সিং। অনেক সময় পেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ, বলের নিচে গিয়ে দুই হাতে ধরেছিলেনও। কিন্তু মুঠোয় আটকে রাখতে পারলেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক।
১০ রানে বেঁচে গেলেন জাতিন্দার সিং।
ওই ওভারেই মুস্তাফিজকে ছক্কা মেরে পরের বলে কিপার নুরুল হাসান সোহানের হাতে ধরা পড়েন কাশ্যপ প্রজাপতি। ৮ রানে জীবন পাওয়া এই ব্যাটসম্যান থামেন ২১ রানে। তার ১৮ বলের ইনিংসে দুই ছক্কার পাশে একটি চার।
৬ ওভারে ওমানের স্কোর ২ উইকেটে ৪৭। ক্রিজে জাতিন্দারের সঙ্গী জিশান মাকসুদ।
কঠিন ক্যাচ ছাড়লেন মুস্তাফিজ
মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের করা তৃতীয় ওভারে হাতছাড়া হলো দুটি সুযোগ। রান আউট থেকে বেঁচে গেলেন জাতিন্দার সিং। পরে থার্ড ম্যাচে মুস্তাফিজুর রহমানকে কঠিন ক্যাচ দিয়ে টিকে গেলেন কাশ্যপ প্রজাপতি। ঝাঁপিয়ে দুই হাতে বল ধরলেও মুঠোয় রাখতে পারেননি মুস্তাফিজ।
৩ ওভারে ওমানের স্কোর ১ উইকেটে ২৬।
শুরুতেই মুস্তাফিজের আঘাত
তাসকিন আহমেদের খরুচে ওভারের পর বাংলাদেশ দলে স্বস্তি এনে দিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। এলবিডব্লিউ করে ফিরিয়ে দিলেন আকিয়াব ইলিয়াসকে।
লেগ স্টাম্পে পড়ে বেরিয়ে যাওয়া বল ব্যাটে খেলতে পারেননি ডানহাতি এই ওপেনার। আম্পায়ার জোরালো আবেদনে সাড়া দিয়ে আউট দিলে রিভিউ নেন ইলিয়াস। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায় বল লাগতো অফ স্টাম্পে।
বিস্ময়করভাবে ওভারে পাঁচটি ওয়াইড করেন মুস্তাফিজ। লেগ স্টাম্পের বাইরে বল দিয়ে হজম করেন ছক্কা!
৬ বলে ৬ রান করেন ইলিয়াস।
২ ওভারে ওমানের স্কোর ১ উইকেটে ২৪। ক্রিজে জাতিন্দার সিংয়ের সঙ্গী কাশ্যপ প্রজাপতি।
১৫৪ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
শেষ বলে ১৫৩ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশের ইনিংস। শেষ ওভারে মাহমুদউল্লাহকে বোল্ড করার পর মুস্তাফিজুর রহমানের উইকেট নিলেন বিলাল খান।
তবে মোহাম্মদ নাঈম শেখের ফিফটি ও তার সঙ্গে সাকিব আল হাসানের চমৎকার জুটিতে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। শেষ দিকে কিছুটা অবদান রেখেছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫৩ (লিটন ৬, নাঈম ৬৪, মেহেদি ০, সাকিব ৪২, সোহান ৩, আফিফ ১, মাহমুদউল্লাহ ১৭, মুশফিক ৬, সাইফ ০, তাসকিন ১*, মুস্তাফিজ ২; বিলাল ৪-০-১৮-৩, কলিমউল্লাহ ৪-০-৩০-২, ফায়াজ ৪-০-৩০-৩, নাদিম ৪-০-৩৫-০, ইলিয়াস ২-০-১৬-০, মাকসুদ ২-০-১৭-১)
খোঁচা মেরে আউট মুশফিক, গোল্ডেন ডাক সাইফ
পরিকল্পনা ঠিকই ছিল, কিন্তু কাজটা ঠিক মতো করতে পারলেন না মুশফিকুর রহিম। কিপারের যতটা দূর দিয়ে ফায়াজ বাটকে খেলতে চেয়েছিলেন ততটা হলো না। থার্ড ম্যান দিয়ে পাঠানোর চেষ্টায় ধরা পড়লেন কিপার নাসিম খুশির গ্লাভসে।
আটে নেমে মুশফিক করেন ৪।
ক্রিজে গিয়েই ছক্কার আশায় বেরিয়ে এসে মেরেছিলেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। টাইমিং করতে পারেননি, ধরা পড়েন লং অফে। পেস বোলিং অলরাউন্ডার পান গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ।
১৯ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৮ উইকেটে ১৪৬। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী তাসকিন আহমেদ।
উঠল না আফিফ-ঝড়, ফিরলেন নাঈম
নামার পর থেকেই বড় শটের চেষ্টায় ছিলেন আফিফ হোসেন। শেষ পর্যন্ত বলে ব্যাটে করতেও পারলেন। কিন্তু সীমানা পার করতে পারলেন না। কলিমউল্লাহর বলে ধরা পড়লেন জাতিন্দার সিংয়ের হাতে।
৫ বলে ১ রান করেন আফিফ।
দুই বল পর ক্লান্ত এক শটে ফিরেন মোহাম্মদ নাঈম শেখও। কলিমউল্লাহর অফ স্টাম্পের বেশ বইরের শর্ট বলে পুল করে সীমানায় ধরা পড়েন বাঁহাতি এই ওপেনার। ৫০ বলে খেলা তার ৬৪ রানের ইনিংস গড়া তিন চার ও চার ছক্কায়।
১৭ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৬ উইকেটে ১২৭। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী মুশফিকুর রহিম। দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেওয়ার ভার অভিজ্ঞ এই দুই ব্যাটসম্যানের কাঁধে।
নাঈমের ফিফটি, আউট সোহান
দলে ফেরা মোহাম্মদ নাঈম শেখ টানছেন দলকে। বাঁহাতি এই ওপেনারের ব্যাটে বাংলাদেশ পেয়েছে আসরের প্রথম ফিফটি।
জিশান মাকসুদকে চার মেরে ৪৩ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন নাঈম।
বাঁহাতি স্পিনারের সেই ওভারেই ছক্কার চেষ্টায় সীমানায় ধরা পড়েন নুরুল হাসান সোহান।
১৫ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৪ উইকেটে ১১২। তিনটি করে ছক্কা ও চারে ৪৬ বলে ৫৬ রানে খেলছেন নাঈম। ক্রিজে তার সঙ্গী আফিফ হোসেন।
সাকিব আল হাসান। ছবি: আইসিসি
সাকিবের রান আউটে ভাঙল জুটি
শুরুতে একটু সময় নেওয়া সাকিব আল হাসান খেলছিলেন দারুণ। এক-দুই করে নেওয়ার সঙ্গে নিয়মিত বাউন্ডারিতে বাড়াচ্ছিলেন রানের গতি। এমন সময়ে রান আউট হয়ে গেলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
ফায়াজ বাটের ফুল লেংথ অফে খেলেই রানের জন্য দৌড় দেন সাকিব। মাঝ পথে গিয়ে বুঝতে পারেন ফিল্ডারের থ্রো স্টাম্পে গেলে কোনো সুযোগ নেই তার। ছেড়ে দেন হাল। ওমানের বাজে ফিল্ডিংয়ের দিনেও আকিব ইলিয়াসের থ্রো এলোমেলো করে দেয় স্টাম্প। ভাঙে ৮০ রানের জুটি।
২৯ বলে ৬ চারে ৪২ রান করেন সাকিব।
১৪ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৩ উইকেটে ১০৪। ক্রিজে মোহাম্মদ নাঈম শেখের সঙ্গী নুরুল হাসান সোহান।
সাকিব-নাঈম জুটিতে পঞ্চাশ
মন্থর শুরুর পর রানের গতি বাড়াতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাকিব আল হাসান। মোহাম্মদ নাঈম শেখের সঙ্গে জুটিতে পঞ্চাশ রান এসেছে ৩৯ বলে।
১১ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২ উইকেটে ৭১। ৩৩ বলে ৩২ রানে খেলছেন নাঈম। সাকিবের রান ২২ বলে ২৯। এক সময়ে ১১ বলে তার রান ছিল ৯।
আবার জীবন পেলেন নাঈম
দারুণ বোলিং করলেও পুরস্কার পাচ্ছেন না ওমানের পেসাররা। ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় মিলছে না উইকেট। প্রথম ৮ ওভারে হাত থেকে পড়েছে তিনটি ক্যাচ!
মোহাম্মদ নাদিমের বল সজোরে লেগে ঘোরান নাঈম। মিড উইকেটে ক্যাচ যায় সোজা প্রজাপতি কাশ্যপ বরাবর। কিন্তু সহজ ক্যাচ মুঠোয় জমাতে পারেননি তিনি। সে সময় ২৬ রানে ছিলেন নাঈম। আগের ওভারেই তিনি জীবন পান একবার। ম্যাচের শুরুতে বেঁচে যান লিটন দাস।
৮ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২ উইকেটে ৪৫। ২৬ বলে ২৭ রানে খেলছেন নাঈম। সাকিবের রান ১১ বলে ৯।
হতো ক্যাচ, হলো ছক্কা
আরেকটি উইকেট পেতে পেতেও পেলেন না ফায়াজ বাট। বয়স ভিত্তিক ক্রিকেটে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করা এই পেসারের বলে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গেছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ।
ফায়াজের শর্ট বল পয়েন্টের ওপর দিয়ে খেলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। একটু দৌড়ে গিয়ে ক্যাচ মুঠোয় রাখতে পারেননি জাতিন্দার সিং। উল্টো তার হাতে লেগে হয়ে যায় ছয়! বেঁচে যান ১৮ রানে থাকা নাঈম।
৭ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২ উইকেটে ৪১। ২৩ বলে ২৫ রানে খেলছেন নাঈম। ৮ বলে সাকিবের রান ৮।
পাওয়ার প্লেতে ২৯ রান, ২২ ডট
পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে চাই, আগের ম্যাচে হারের পর বলেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ওমানের বিপক্ষেও তা করতে পারেনি বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে হারিয়েছে ২ উইকেট। ডট খেলেছে ২২ বল।
৬ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২ উইকেটে ২৯ রান। ১৯ বলে ১৫ রানে খেলছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। ৬ বলে সাকিবের রান ৬।
শূন্যতেই শেষ মেহেদি
কাজে লাগল না বাংলাদেশের ফাটকা। শূন্য রানে ফিরে গেলেন ‘ফ্লোটার’ মেহেদি হাসান।
দলে আসা পেসার ফায়াজ বাট আক্রমণে এসেই পান সাফল্য। চমৎকার ফিরতি ক্যাচ নেন মেহেদির। বোলারের মাথার ওপর দিয়ে শট খেলতে চেয়েছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ঠিক মতো পারেননি, ঝাঁপিয়ে মুঠোয় জমান ফায়াজ।
ক্রিজে গিয়েই ব্যাটের কানায় লেগে বাউন্ডারি পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। পরের দুটি বল ডট খেলেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
৫ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২ উইকেটে ২৫।
চারের পর নাঈমের ছক্কা
রান আসছে না। ধীরে ধীরে বাড়ছে অস্বস্তি। যিনি বেশ ডট খেলছেন সেই মোহাম্মদ নাঈম শেখ যেন পুষিয়ে দিতে চাইলেন। চতুর্থ ওভারে তার ব্যাট থেকে এলো ম্যাচের প্রথম বাউন্ডারি। কলিমউল্লাহকে চার মারার পর ওড়ালেন ছক্কায়। এর আগে-পরে অবশ্য ওই ওভারেই খেলেছেন দুটি করে ডট বল।
৪ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১ উইকেটে ২১। চার ও ছক্কার পরও নাঈমের রান ১৬ বলে ১৩। ১ বল খেলা মেহেদি এখনও খুলতে পারেননি রানের খাতা।
ফিরলেন নড়বড়ে লিটন
আগের বলে ক্যাচ দিয়েও পেলেন জীবন। কিন্তু পরের বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে গেলেন লিটন দাস। ব্যাট হাতে তার দুঃসময় প্রলম্বিত হলো আরও।
বাঁহাতি পেসার বিলাল খানের ফুল লেংথ বল ব্যাটে খেলতে পারেননি লিটন। এলবিডব্লিউর আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় ওমান। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায় বল লাগতো লেগ-মিডল স্টাম্পে।
৭ বলে ৬ রান করেন লিটন।
৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১ উইকেটে ১১। ক্রিজে মোহাম্মদ নাঈম শেখের সঙ্গী মেহেদি হাসান।
রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন লিটন
দ্বিতীয় ওভারে স্ট্রাইক পেলেন লিটন দাস। কলিমউল্লাহর বল গেল তার ব্যাটের বাইরের কানা ঘেঁষে। কট বিহাইন্ডের আবদনে সাড়া দিলেন আম্পায়ার। সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নিলেন লিটন। আল্ট্রা এজে মেলেনি বলে ব্যাট স্পর্শের প্রমাণ। পাল্টায় সিদ্ধান্ত। গোল্ডেন ডাকের হাত থেকে বেঁচে গেলেন লিটন।
২ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭।
পেসার বাড়াল ওমান
বাংলাদেশের বিপক্ষে পেস বোলিংয়ে শক্তি বাড়িয়েছে ওমান। লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার খাওয়ার আলির জায়গায় একাদশে এনেছে ফায়াজ বাটকে।
ওমান একাদশ: জিসান মাকসুদ, আকিব ইলিয়াস, জাতিন্দার সিং, মোহাম্মদ নাদিম, আয়ান খান, সন্দিপ গৌড়, কলিমউল্লাহ, বিলাল খান, নাসিম খুশি, ফায়াজ বাট, কাশ্যপ। |
ফিরলেন নাঈম, বাদ সৌম্য
কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর দেওয়া ধারণা অনুযায়ীই কেবল একটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। সৌম্য সরকারের জায়গায় ফিরেছেন আরেক বাঁহাতি ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ।
টানা দ্বিতীয় ম্যাচেও দলে নেই নাসুম আহমেদ। সবুজ ঘাসের ছোঁয়া থাকা উইকেটে তিন পেসার নিয়ে খেলছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন কুমার দাস, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), শেখ মেহেদি হাসান, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ। |
টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
আগের ম্যাচে টস জিতে নিয়েছিলেন ফিল্ডিং। রান তাড়ায় স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচে হেরে যাওয়ার পার ভাবনায় বদল এনেছেন মাহমুদউল্লাহ। ওমানের বিপক্ষে টস জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক নিয়েছেন ব্যাটিং। জানিয়েছেন, শিশিরের ভাবনা থাকলেও বড় রান করে চাপে ফেলতে চান স্বাগতিকদের।
বাংলাদেশের টিকে থাকার লড়াই
টানা দুই জয়ে ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষে উঠে গেছে স্কটল্যান্ড। পাপুয়া নিউ গিনিকে প্রথম ম্যাচে ১০ উইকেটে উড়িয়ে দেওয়া ওমান আছে দুই নম্বরে। তাদের বিপক্ষে হারলে নিশ্চিত হয়ে যাবে প্রথম পর্ব থেকেই বাংলাদেশের বিদায়।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মঙ্গলবার বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ওমানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ওমানের আল আমেরাত স্টেডিয়ামে মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়।
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ রানে হার দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করা বাংলাদেশ জিততে মরিয়া। সুপার টুয়েলভের আশা বাঁচিয়ে রাখতে ব্যাটিংয়ে উন্নতির বিকল্প দেখেন না অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। পরিস্থিতি যাই হোক, ওমানের বিপক্ষে আগ্রাসী ব্যাটিং দেখতে চেয়েছেন তিনি।