সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি || উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা, করতোয়া, বড়াল ও হুড়াসাগর নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার ৭০০ বিঘা জমির কাঁচা ও আধাপাকা ধান। সারা বছরের খাদ্যের জোগান দেওয়া ফসল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকের কপালে।
জানা যায়, শাহজাদপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী জালালপুর, কৈজুরি, সোনাতনী ও গালা ইউনিয়নের নিচু জমির ধানের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। কৃষকরা বাধ্য হয়ে কাঁচা ও আধাপাকা ধান গরুকে খাওয়াচ্ছেন। অনেকে আধাপাকা ধান মাড়াই করে কিছুটা চাল বের করার চেষ্টা করছেন।
স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, প্রতিবছর সাধারণত জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষের দিকে নদীর পানি বৃদ্ধি শুরু হয়। কিন্তু এ বছর চৈত্র মাসের শুরুতেই হঠাৎ যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, প্রতিবছর সাধারণত জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষের দিকে নদীর পানি বৃদ্ধি শুরু হয়। কিন্তু এ বছর চৈত্র মাসের শুরুতেই হঠাৎ যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক আব্দুল লতিফ বলেন, ‘উজানের পাহাড়ি ঢলের কারণে কয়েক দিন ধরে যমুনা ও এর শাখা নদীগুলোর পানি বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।’
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আহসান শহিদ সরকার বলেন, ‘যমুনায় হঠাৎ পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার চার উপজেলার প্রায় ৭০০ বিঘা বোরো ধান ডুবে গেছে। এতে কৃষকদের বেশ ক্ষতি হয়েছে।’