করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দেওয়ার পর গত এপ্রিলে সারা দেশে বিধিনিষেধ আরোপ হলেও তা অনেকাংশে এখন শিথিল। তবে রাজশাহীতে কঠোর বিধিনিষেধই ফিরিয়ে আনা হল, যাকে সর্বাত্মক লকডাউন বলা হচ্ছে।
এই ঘোষণার পর পরই শুক্রবার মধ্যরাত থেকে রাজশাহীর সঙ্গে সারা দেশের যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহী সার্কিট হাউজে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জরুরি বৈঠক হয়। সেখানে জেলায় পরীক্ষার তুলনায় কোভিড শনাক্তের হার ও মৃত্যুর হার বিশ্লেষণ করে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
“লকডাউনের সময় সব দোকানপাট ও যান চলাচল বন্ধ থাকবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁ থেকে কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না, রাজশাহী থেকেও কোনো যানবাহন জেলার বাইরে যাবে না। তবে রোগী ও অন্য জরুরি সেবাদানকারীর ক্ষেত্রে এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে না।
এছাড়াও আমের বাজারগুলো বড় পরিসরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজার পরিচালনা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, মহানগর পুলিশের কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল ও স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ কর্তা ব্যক্তিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দেওয়ার পর গত ৫ এপ্রিল সরকার নানা বিধিনিষেধ আরোপের সঙ্গে সারাদেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল।
তবে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি দেখে ২৪ মে থেকে ট্রেন চালানোর ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে। কিন্তু এর মধ্যে ভারতে উদ্ভূত ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সামাজিক বিস্তার বা কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ঘটায় এখন রাজশাহীতে রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একক জেলা হিসেবে রাজশাহীতে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বাধিক ৩৫৩ জন নতুন রোগী শনাক্তের কথা জানায়।