1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : News Editor : News Editor
রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪২ অপরাহ্ন

মক্কায় নেমে প্রথমেই ওমরাহ করলাম

সাংবাদিক
  • আপডেট সময় : বুধবার, ৭ জুন, ২০২৩
  • ৬৭ বার সংবাদ দেখেছেন
মক্কায় নেমে প্রথমেই ওমরাহ করলাম
মক্কায় নেমে প্রথমেই ওমরাহ করলাম

হজ তিন প্রকার—তামাত্তু, কিরান ও ইফরাদ। বেশির ভাগ হজযাত্রী তামাত্তু হজ করেন। প্রথমে ওমরাহর ইহরামের নিয়ত করে তা সম্পন্ন করে হজের জন্য নতুন করে ইহরামের নিয়ত করে তা সম্পাদন করাকে ‘তামাত্তু হজ’ বা সুবিধাজনক হজ বলা হয়।

যেহেতু তামাত্তু হজ করব, তাই মক্কায় পৌঁছে প্রথম কাজ হলো ওমরাহ করা। অর্থাৎ পবিত্র কাবা শরিফ সাতবার তাওয়াফ করে, সাফা–মারওয়ায় সাতবার সাঈ করে, মাথা মুণ্ডন করে ইহরাম খুলে ফেলা।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিয়ে অজু করে মসজিদুল হারামে (কাবা শরিফে) পৌঁছালাম। নিচতলার মাতাফে (কাবা শরিফের চারদিকে তাওয়াফের স্থানকে মাতাফ বা চত্বর বলে) শুধু ওমরাহ পালনকারীদের জন্য প্রবেশের ব্যবস্থা রেখেছে।

মক্কার মসজিদুল হারামের সব জায়গাতেই প্রবেশ করার সুযোগ রয়েছে। তবে ওমরাহ পালনকারীদের জন্য যাঁদের ইহরামের কাপড় পরা আছে, শুধু তাঁরা মসজিদুল হারামের নিচতলার মাতাফে (যেখানে তাওয়াফ করা হয়) যেতে পারবেন। ভিড় এড়ানোর জন্য শুধু ওমরাহ পালনকারীদের এই ব্যবস্থা করে দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। স্বাভাবিক পোশাক (পাঞ্জাবি–পায়জামা, শার্ট–প্যান্ট) পরে মাতাফে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
ঢুকলাম মাতাফে, মেঝেতে বড় বড় সাদা পাথর বসানো। এই পাথরের বিশেষত্ব হলো, প্রচণ্ড তাপেও পাথর ততটা গরম হয় না।

কাবা শরিফের তাওয়াফ শুরু করতে হয় হাজরে আসওয়াদ থেকে। ভিড়ের কারণে হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ বা চুমু দেওয়া সম্ভব না হলে ইশারায় চুমু দিতে হয়।
কাবা শরিফকে সাতবার প্রদক্ষিণ করতে ৪৫ মিনিটের মতো লাগল। ভিড় কম থাকলে আরও কম সময়ে করা যায়। তাওয়াফ শেষে দুই রাকাত নামাজ আদায় করলাম। নামাজ শেষে জমজম কূপের পানি খেলাম। মসজিদে কিছু দূর পর পর (ঠান্ডা, স্বাভাবিক) জমজমের পানি একাধিক জারে ভরে রাখা আছে। ইচ্ছা হলেই যাতে পানি পান করা যায়।

জমজমের পানি খেয়ে সাফা–মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে সাঈ করলাম। অর্থাৎ সাফা–মারওয়া সাতবার আসা-যাওয়া করলাম। জনশ্রুতি আছে, হজরত হাজেরা (আ.) এবং শিশুপুত্র ইসমাইল (আ.)-কে কাবার পাশে বড় একটি গাছের ছায়ায় রেখে যান হজরত ইব্রাহিম (আ.)। তখন কাবা শরিফের স্থানটি ছিল উঁচু একটি টিলার মতো। তাঁদের দিয়ে যান কিছু খেজুর আর এক মশক পানি। পানি ফুরিয়ে গেলে হজরত হাজেরা (আ.) পানির জন্য কাবার সামনের দুই পাহাড় সাফা ও মারওয়ায় ছোটাছুটি করতে থাকেন।

সাতবার ছোটাছুটির পর একটি আওয়াজ শুনে তিনি কাবার পাশে এসে দেখেন, চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে পানি। তিনি পানির উৎসের চারদিকে বালুর বাঁধ দেন। পরে খনন করে এই কূপকে আরও প্রশস্ত করেন হজরত ইব্রাহিম (আ.)।

দুই পাহাড়ের মধ্যে একটি জায়গায় এলে কিছুটা স্থান দৌড়াতে হয় এবং বাকি পথ হাঁটার রেওয়াজ। বিবি হাজেরা (আ.) পানির জন্য যে জায়গাগুলোয় ছোটাছুটি করেছিলেন, এখন সেখানে ওমরাহ বা হজে হজযাত্রীরা দৌড়ান। এই পাহাড় দুটি এখন মসজিদুল হারামের অন্তর্ভুক্ত। সাফা পাহাড় থেকে সাঈ শুরু করতে হয় এবং সাতবার আসা-যাওয়ার পর মারওয়া পাহাড়ে গিয়ে শেষ করতে হয়।

মজম টাওয়ারের বেজমেন্টে অনেক সেলুন। পাকিস্তানি নাপিত মাথা মুণ্ডন করে দিলেন ১০ রিয়ালে। ইহরামের কাপড় বদলে গোসল করে স্বাভাবিক পোশাক পরলাম। এভাবেই ওমরাহ শেষ হলো। হজের জন্য ৭ জিলহজ আবার ইহরামের কাপড় পরতে হবে।

সামাজিক যোগাযোগ এ শেয়ার করুন

একই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২১ বাংলার মুখ বিডি
ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট @ ইজি আইটি সল্যুশন