1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : News Editor : News Editor
রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:৪৮ অপরাহ্ন

লেবু বেশি চটকে তেতো করবেন না

সম্পাদকীয়
  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ১৩ জুন, ২০২৩
  • ৪৪ বার সংবাদ দেখেছেন
লেবু বেশি চটকে তেতো করবেন না
লেবু বেশি চটকে তেতো করবেন না

ক্ষমতায় থেকে সংসদ না ভেঙে দলীয়করণকৃত প্রশাসনিক সেটআপ ও পোশাকধারী বাহিনী ব্যবহার করে ক্ষমতাসীনদলীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বের নিজদলীয় তত্ত্বাবধানে সংসদ নির্বাচন করার ব্যাপারে গৃহীত শক্ত অবস্থান ক্রমান্বয়ে নরম হয়ে আসছে। স্বদেশি আন্দোলন ও বিদেশি চাপে ক্রমান্বয়ে এ বিষয়ে বলা তাদের কথার ঝাঁজ হ্রাস পেয়েছে। র‌্যাবের ওপর আমেরিকা প্রদত্ত স্যাংশন আরোপের পর পোশাকধারী বাহিনী কর্তৃক খুন-গুম উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।

তবে প্রতিপক্ষ বিরোধী নেতাদের নামে হয়রানি ও গায়েবি মামলা এখনো চলমান আছে। কমেনি বিরোধীদের আন্দোলন-সংগ্রাম করতে দেওয়ার পথে নানাবিধ বাধার সৃষ্টি। আমেরিকার ‘ভয়ংকর’ ভিসানীতি ঘোষণার পরও সরকার কর্তৃক বিরোধী নেতাদের হয়রানি করা বন্ধ হয়ে যায়নি। নিজেরা নিজেদের নির্বাচনি সংকট দূর করতে আন্তরিক না হয়ে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার কূটকৌশল অব্যাহত রাখায় গণতান্ত্রিক বিশ্বের পরাশক্তিধর দেশগুলো বাংলাদেশি নির্বাচনে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সংসদ নির্বাচনকে মুক্ত ও অবাধ করার জন্য রাজনৈতিক নেতাদের উদ্ভাবিত নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা একটি খণ্ডিত (৪:৩) ও বিতর্কিত রায়ের সংক্ষিপ্ত আদেশের একাংশ ব্যবহার করে মূল রায় প্রকাশিত হওয়ার আগেই একগুঁয়েমি করে এককভাবে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাশ করে বাতিল করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আদালত কর্তৃক নিয়োজিত আটজনের মধ্যে সাতজন অ্যামিকাস কিউরি, সুশীল সমাজ ও অধিকাংশ জনগণের পরামর্শ উপেক্ষা করে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার সংকীর্ণ স্বার্থ হাসিলের অভিপ্রায়ে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা রহিত করা হয়। তা না হলে সরকার এ ব্যবস্থায় দৃশ্যমান ত্রুটি থাকলে তার সংস্কার করতে পারত। উল্লেখ্য, তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাধীনে অনুষ্ঠিত ৫ম, ৭ম এবং ৮ম সংসদ নির্বাচন অবিতর্কিতভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং ওই নির্বাচনগুলোয় বিজয়ী দল সরকার গঠন করে পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে পেরেছিল।

অন্যদিকে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করার পর দলীয় ব্যবস্থাধীনে স্বচ্ছ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার একাধিকবার চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। দলীয় সরকারাধীনে গ্রহণযোগ্য ও দুর্নীতিমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত সংসদ নির্বাচনে বিরোধী দলগুলোকে অংশগ্রহণ করালেও ওই নির্বাচনে গভীর রাতে ভোট হওয়ার মতো নজিরবিহীন কারচুপি হয়েছে।

এ অবস্থায় বিরোধী দলগুলো এবার আর আগের মতো সরকারি প্রতিশ্রুতি বিশ্বাস করে ঠকতে রাজি নয়। তারা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে অহিংস আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। কারণ তারা জানে, সরকারপ্রধানের মিষ্টি কথার প্রতিশ্রুতি বিশ্বাস করে দলীয় সরকারাধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেলেও তারা জিতে পারবে না। অন্যদিকে, গণতান্ত্রিক বিশ্বের পরাশক্তিধর দেশগুলো একইভাবে বাংলাদেশে মুক্ত ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ওপর জোর দেওয়ায় বিরোধী আন্দোলন বেগবান হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় ক্রমান্বয়ে ক্ষীণ হয়ে আসছে দলীয় সরকারাধীনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা।

বাংলাদেশের সুশীল সমাজের অধিকাংশ সদস্য বর্ণচোরা। হাতেগোনা দু-চারজন বাদে তাদের অনেকেই ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে সুবিধা নিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। সাদাকে সাদা, আর কালোকে কালো বলতে তারা ভয় পান। সমর্থিত দলের সুসময়ে তারা সরকারের গুণগান গেয়ে সুবিধা নেন। আর সরকারের বিপদকালে মুখে কলুপ এঁটে চুপ করে ঘাপটি মেরে থাকেন।

নাম উল্লেখ না করে বলা যায়, এ দেশের বেশকিছুসংখ্যক সুশীল সমাজ সদস্য গত এক যুগেরও বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা বর্তমান সরকারের কাছ থেকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন। পেয়েছেন বিভিন্ন পদ ও পদবি। এখন যখন দেখছেন, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্যে সরকারের পায়ের নিচ থেকে গণসমর্থনের মাটি ক্রমান্বয়ে সরে যাচ্ছে, তেমন সময়ে এদের অনেকে নীরব ভূমিকা পালন করছেন। কেউ কেউ আগে সরকারের নীতিমালা সমর্থন করে পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করলেও এখন কদাচিৎ কলম ধরছেন।

এদের অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আগে যেভাবে সরকারের পক্ষে সরব ছিলেন, এখন আর তারা তেমনভাবে দৃশ্যমান নন। এদের ভূমিকা অনেকটা সুসময়ের বন্ধু, বা দুধের মাছির মতো। সরকার যদি রাজনৈতিক ক্ষমতায় থাকতে না পারে, তখন আর এদের ক্ষমতাসীন দলের পাশে পাওয়া যাবে না। এ কারণেই বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে নিয়মশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। আইনের শাসন অসুস্থ। সুশাসন হাসপাতালে। আর গণতান্ত্রিক এবং নির্বাচনি ব্যবস্থা আইসিইউতে। এ সুযোগে বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের সুযোগ পেয়েছে। দেশের রাজনীতিবিদ এবং সুশীল সমাজ তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করলে এমন অবস্থা হতো না। বিরোধীদলকে গণতান্ত্রিক স্পেস দিয়ে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি করতে দিলে এবং ক্ষমতা রদবদলের ধারাবাহিকতা স্বাভাবিক ও গণতান্ত্রিক রাখতে পারলে দেশকে দুরবস্থায় পড়তে হতো না।

আমি সরকারের সুবিধাভোগী নই। বর্ণহীন শিক্ষক হিসাবে চার দশক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছি। উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে পদ-পদবিসহ সব সুযোগ-সুবিধা বণ্টিত হয় রাজনৈতিক পরিচয়ের ওপর ভিত্তি করে। শিক্ষক হিসাবে আমি পদ-পদবির জন্য তাঁবেদারি করিনি। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থী পড়িয়ে আমার শিক্ষকতা জীবন শেষ হয়েছে। দেশ ও জাতির যুগপৎ স্বাভাবিক সময়ে এবং ক্রান্তিলগ্নে উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে ন্যায্য পরামর্শ দিয়েছি। অনেক সময় সরকারের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে, আবার অনেক সময় আমার পরামর্শ উপেক্ষিত হয়েছে।

বর্তমানে চলমান নির্বাচনি সংকটের সমাধান নিয়ে এ জনপ্রিয় পত্রিকায় আমি কতিপয় লেখা লিখেছি। এসব লেখায় আমি বলেছি, চলমান নির্বাচনি সংকটের সমাধান নিহিত নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার গঠনের মধ্যে। সরকার এ কাজটি করলে বিরোধীদলীয় আন্দোলনের বেলুন চুপসে যাবে। নির্দলীয় সরকারাধীনে প্রশাসন, ইসি, পোশাকধারী বাহিনীর সদস্যরা পেশাদারির সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারবে। অন্যদিকে, দলীয় সরকারাধীনে নির্বাচন হলে এদের সরকারের অঘোষিত ডিকটেশন অনুযায়ী কাজ করতে হবে। ফলে সরকারদলীয় বিজয় সুনিশ্চিত হলেও নির্বাচন ভালো হবে না।

সরকারি দল থেকে বলা হচ্ছে তারা তাদের অধীনেই সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করবেন। ওই নির্বাচনে কে অংশগ্রহণ করল বা কে করল না, সেটি তাদের দেখার বিষয় নয়। সরকারের মন্ত্রী ও নেতারা সংবিধানের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলছেন, তারা সংবিধানের বাইরে যাবেন না। সংবিধানে যেভাবে দলীয় সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের বিধান রয়েছে, তারা সেভাবেই নির্বাচন করবেন। এমন সুরে ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়াও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের দাবি নাকচ করে দলীয় সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন।

কিন্তু প্রবল বিরোধীদলীয় আন্দোলনের চাপে তিনি একটি যেনতেন রকমের নির্বাচন করে স্বল্পায়ুর সংসদে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী পাশ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের দাবিটি দেরি করে হলেও মেনে নেন। এ যৌক্তিক দাবি যদি খালেদা জিয়া প্রথমেই মেনে নিতেন, তাহলে বিরোধী দলগুলোকে প্রায় দুবছর আন্দোলন করতে হতো না। জনগণের জানমালের ক্ষতি হতো না। ১৭৩ দিন হরতাল পালনে যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছিল তা এড়ানো যেত।

একইভাবে বর্তমান সরকার বিরোধীদলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি যত দ্রুত মানবেন, দেশ ও জাতির জন্য তা হবে তত মঙ্গলজনক। কারণ, বিরোধী দলগুলো তাদের দাবি থেকে নড়বে না। কারণ দলগুলো জানে, এ দাবি থেকে সরে গিয়ে দলীয় ব্যবস্থাধীনে সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা আর সুনিশ্চিত পরাজয় বরণ করার মধ্যে পার্থক্য নেই। এজন্য বিএনপি ১০ এবং ৩০ দফা দাবি দিলেও তাদের মূল দাবি হলো নির্দলীয় সরকারাধীনে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি।

এ দাবি মানতে সরকার যত দেরি করবে, বিরোধীদলীয় আন্দোলন তত তীব্র হবে। সরকার দমন, নির্যাতন, গ্রেফতার আর মামলা-হামলা করে এ আন্দোলন দমিয়ে রাখতে পারবে বলে মনে হয় না। কারণ, বিরোধীদলগুলো তাদের অহিংস আন্দোলনের পক্ষে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে অনেকটাই সক্ষম হয়েছে। সে সঙ্গে গণতান্ত্রিক বিশ্বের পরাশক্তিধর দেশগুলোও বাংলাদেশে মুক্ত ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের ওপর কূটনৈতিক চাপ অব্যাহত রেখেছে। অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের জন্য আমেরিকার নজিরবিহীন ভিসানীতি ঘোষণা করায় সরকার অনেকটা বেকায়দায় পড়েছে। চীন ও ভারত বাদ দিলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ দেশসহ গণতান্ত্রিক বিশ্বের দেশগুলো বাংলাদেশের আসন্ন সংসদ নির্বাচন মুক্ত ও অবাধ করতে সরকারের ওপর কূটনৈতিক চাপ অব্যাহত রেখেছে। আমেরিকার রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বড় দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় মিটিং করছেন। ফলে বিরোধীদলীয় আন্দোলন চাঙা হয়ে উঠেছে।

এ অবস্থায় বিরোধীদলীয় অনড় অবস্থান আর পরাশক্তিধর গণতান্ত্রিক দেশগুলোর মুক্ত ও অবাধ নির্বাচনের পক্ষে দাঁড়ানোয় সরকারদলীয় নেতাদের নির্বাচন নিয়ে প্রদত্ত বক্তব্যের সুর কিছুটা নমনীয় হয়েছে বলে অবস্থাদৃষ্টে প্রতীয়মান হয়। উল্লেখ্য, ইতঃপূর্বে সরকারপ্রধান বিএনপিকে নিজ বাবার হত্যাকারী উল্লেখ করে দলটির সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে দেন। অথচ সরকারদলীয় উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু ৬ জুন ১৪ দল আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হতে পারে বলে বক্তব্য দেন। জনাব আমুর এহেন বক্তব্যে বিএনপি থেকে কোনো আগ্রহ দেখানো হয়নি।

কারণ, দলটি প্রধানমন্ত্রীকে পদে রেখে কোনো আলোচনা বা কোনো নির্বাচনকালীন সরকার গঠনে বিন্দুমাত্র আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তারা চায় সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারাধীনে সংসদ নির্বাচন। একদিন পর আবার জনাব আমু তার বক্তব্য থেকে সরে আসেন। সরকারদলীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতিসংঘের মধ্যস্থতা করার মতো কোনো সংকট বাংলাদেশে সৃষ্টি হয়নি। সবচেয়ে ভালো হয়, সরকারি দল স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে বিরোধীদলীয় দাবি মেনে নিয়ে নির্দলীয় সরকারাধীনে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।

যেভাবে সরকারের ওপর স্বদেশি ও বিদেশি চাপ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে, তাতে একসময় সরকারকে ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়ার মতো বিরোধীদলীয় দাবি মেনে নির্দলীয় সরকারাধীনে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে। এ কাজে অকারণে গড়িমসি না করে সরকার যত দ্রুত এ দাবি মেনে নেবে, দেশ ও জাতির জন্য তা তত মঙ্গলজনক হবে। না হলে আরও আন্দোলন এবং আরও কূটনৈতিক চাপের পর অনেক দেরি করে এ দাবি মানা হলে তা হবে সবার জন্য ক্ষতিকর। সরকারের জন্য ভালো হবে লেবু বেশি চটকে তেতো না করে যত দ্রুত সম্ভব আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নির্দলীয় সরকারাধীনে সংসদ নির্বাচনের সাংবিধানিক ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা।

সামাজিক যোগাযোগ এ শেয়ার করুন

একই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২১ বাংলার মুখ বিডি
ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট @ ইজি আইটি সল্যুশন