আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আসুক বা না আসুক সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে (জাতীয় সংসদ) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সময় আর স্রোতের মতো সংবিধানের নিয়মও কারও জন্য অপেক্ষা করবে না। মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর হাজারীবাগ বাজার মাঠে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে এ শান্তি সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ূন কবির, সহসভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ কামাল, মিরাজ হোসেন মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ, সাংগঠনিক সম্পাদক আখতার হোসেন প্রমুখ।
সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বিদেশি শক্তিকে দিয়ে দুই বছরের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার বসানোর পরিকল্পনা করছে। বিএনপি এখনো মনে মনে মন কলা খাচ্ছে। নিজের দলের ফখরুদ্দীন, মঈনুদ্দিনকে বসাবে। আর আমরা কি ললিপপ খাব? সবই জানি, কোথায় কোথায় ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ওয়ান-ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়কের দুঃস্বপ্ন দেখে লাভ নেই। এটা দিবাস্বপ্ন। আমরাও প্রস্তুত আছি। তিনি বলেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরাজিত হলেই কেবল বিএনপি ও তার দোসররা বলবে, নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হয়েছে। আওয়ামী লীগ বিজয়ী হলে তারা কোনোদিন পরাজয় মেনে নেবে না।
‘শেখ হাসিনার সময় শেষ, আওয়ামী লীগের সময় শেষ’- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব জানতে চাই, সময়টা কবে শেষ হবে। দিন-তারিখ বলুন। ১৪ বছরে হাজার বার শুনেছি সময় শেষ। সময় তো শেষ হয়নি। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সময় যখন শেষ দিন-তারিখ ঠিক করে প্রেস কনফারেন্স করেন, যাতে একগুচ্ছ রজনী গন্ধা ও গোলাপ ফুল দিয়ে আমরা আপনাদের বরণ করে নেব! যেন সময়মতো আপনাদের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে পারি!
বিএনপিকে আইন অমান্যকারী দল অভিহিত করে সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা আইন মানে না, বিচার মানে না, নিরপেক্ষ সালিশ মানে না। তারা কেন কথায় কথায় বলে আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক বাদ দিয়েছে? বাদ তো দিয়েছে উচ্চ আদালত। সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। নির্বাচনে যারা বাধা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি তাদের বাধা দেয় কিনা আমরা সেটা দেখতে চাই। আবার তারা আগুন নিয়ে আসবে, ভাঙচুর করবে, রেললাইন উপড়ে ফেলবে, ভূমি অফিসে আগুন দেবে-সেই তত্ত্বাবধায়ক আমরা চাই না। বাংলাদেশের মানুষ শান্তি চায়, স্বস্তি চায়।