জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে সোহেল রানা (২৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আটক সোহেল রানা নিজেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হিসেবে দাবি করেছেন।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষ ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার চতুর্থ শিফট চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়।
সোহেল রানা নিজেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হিসেবে দাবি করেছেন। তার বাড়ি রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলায়। সোহেলের পিতার নাম সোহাগ আলি ও মাতার নাম আমেনা বেগম।
নাজমুল হক নামের এক শিক্ষার্থীর হয়ে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ‘বি’ ইউনিট ও রোববারের ‘সি’ ইউনিটেও পরীক্ষা দিয়েছেন বলে জানান আটককৃত ব্যক্তি।
তিনি বলেন, আমি এর আগে কখনো কোথাও প্রক্সি দেইনি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা শেষ করে চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছি। ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে আমার এলাকার এক স্থানীয় বড় ভাই ইমরান ইমনের মাধ্যমে এখানে এসেছি। ইমরান ইমন নাজমুল হকের ফুফাতো ভাই।
এ বিষয়ে প্রক্টর অফিস থেকে প্রাপ্ত ইমরান ইমনের নম্বরে কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘বি’ ইউনিটের শিফটের পরীক্ষার সময় তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি পরীক্ষায় জালিয়াতির কথা স্বীকার করেন। তাকে এখন আমাদের জিম্মায় রাখা হয়েছে, ভ্রাম্যমাণ আদালতকে জানিয়েছি। তারা এসে অপরাধের মাত্রা বিবেচনা করে অভিযুক্তকে শাস্তি দিবেন।
তিনি বলেন, অভিযুক্ত সোহেল রানা রোববার ‘সি’ ইউনিটেও ওই একই পরীক্ষার্থীর জন্য প্রক্সি দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। আমরা ইতোমধ্যে সেন্ট্রাল ভর্তি কমিটিকে জানিয়ে ‘সি’ ইউনিটের উত্তরপত্রটা বাতিল করে দিয়েছি।