অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার তিন সপ্তাহ পর বিএনপির ভোট নিয়ে আলোচনার দাবির মধ্যে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময়ে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর যেসব রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন, এবারও তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দেশ ‘সংস্কার’ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে প্রস্তাব আহ্বান করে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে বৃহস্পতিবার পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছিলেন, আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ আলোচনার প্রক্রিয়া চালু রাখব, তাদের কাছ থেকে সংস্কার প্রস্তাব যা আসবে সেগুলো গ্রহণ করব। সে ব্যাপারে একটা পদ্ধতির বিষয়ে কথা হয়েছে।
বর্তমানে দেশে ৪৫টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে। এর বাইরে আলোচিত জামায়াতে ইসলামীসহ অনেক দলই ও মোর্চা নিবন্ধনের বাইরে থেকেই রাজনীতির মাঠে সক্রিয় রয়েছে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিন দিন পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব বুঝে নেয় মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা পরিষদ। আওয়ামী লীগকে বাদ রেখে অন্যান্য দল ও সেনাবাহিনী আলোচনা করে এই সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়।
অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেওয়ার পর বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার বা তাদের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের কাউকে দেখা যায়নি।
নির্বাচন নিয়ে গত রোববার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কখন নির্বাচন হবে সেটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, আমাদের সিদ্ধান্ত নয়। দেশবাসীকে ঠিক করতে হবে আপনারা কখন আমাদের ছেড়ে দেবেন। আমরা ছাত্রদের আহ্বানে এসেছি। তারা আমাদের প্রাথমিক নিয়োগকর্তা। দেশের আপামর জনসাধারণ আমাদের নিয়োগ সমর্থন করেছে। আমরা ক্রমাগতভাবে সবাইকে বিষয়টি স্মরণ করিয়ে যাব, যাতে হঠাৎ করে এই প্রশ্ন উত্থাপিত না হয়—আমরা কখন যাব। তারা যখন বলবে, আমরা চলে যাব।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত সংলাপে বসা উচিত বলে মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।